আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বাইডেন হাত উঁচিয়ে দেখাচ্ছিলেন সেমিকন্ডাক্টর চীপের ওয়েফার ডিস্ক। এই ডিস্কগুলো থেকে তৈরি হয় আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে ব্যবহারিত লক্ষকোটি পরিমান ব্রেইনস অফ অল দ্যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসেস। যে বিষয়টা আমার নজর কেড়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে পাওয়ারফুল দেশটির প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখানে কোন ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ক্রেডিট নিতে আসেননি অথবা অন্য দেশ থেকে ভাড়া করে আনা 'সোফিয়া' রোবট ডিসপ্লের অনুকরনে যাননি। বাইডেন ৫২ বিলিয়ন ডলারের (৪ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা) 'CHIPS Act' ডিক্লেয়ার করছেন আমেরিকান চিপ সুপ্রেমেসিকে ফিরিয়ে আনতে আমেরিকার মাটিতে। চায়নার TSMC বা কোরিয়া Samsung এর মত কোম্পানিগুলো যখন চিপ ম্যানুফাকচারিংয়ে আমেরিকাকে পেছনে ফেলছে, সে সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ এটি। বাইডেন এটা বলছিলো না যে 'This is (his or somebody else's) dream', বরং বলছিল 'This is infrastructure!' বাইডেন এই উদ্যোগ না নিলেও পারতো। আমেরিকার মাটিতে এই টাকা দিয়ে নতুন ফেব্রিকেশন প্ল্যান্ট না করলেও আমেরিকান কোম্পানিগুলো আগের মত TSMC বা Samsung থেকে প্রয়োজনীয় চিপ কেনা অব্যাহত রাখতে পারতো। বাইডেন এই টাকা দিয়ে TSMC-কে আমেরিকায় ভর্তুকি দিয়ে ফেব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপনে বাধ্য করছে। That is how a nation touch the sky, by BUILDING INFRASTRUCTURE! বাংলাদেশে বিভাগীয় শহরগুলোও এখনো আধুনিক হাইওয়ে বলতে যা বোঝায় এমন কোন সড়ক ব্যবস্থা দিয়ে কানেক্টেড না। ইন্টারনেটের গতি আধুনিক আউটসোর্সিংয়ের প্রয়োজনানুপাতে হাস্যকর। ঢাকায় দিনের বেলা মটরযানের গতি অসংখ্য মেধাবী বনী আদমের হায়াতের ১ পঞ্চমাংশকে রাস্তার ধুলোবালিতে বিলীন করছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষনা বরাদ্ধ ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে একদিন চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যাবার বরাদ্দের ন্যায়। এগুলো ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ব্যক্তি বিল্ড করতে পারে না, সরকার বিল্ড করতে হয়। ১৮ কোটি মানুষের এযাবতকালের যত অর্জন তাতে সরকারী ইনফ্রাস্ট্রাকচারের গুরুত্ব খুবই কম। বরং বিদেশী রেমিটেন্স আর তারুন্যের নিজস্ব চাহিদা এদুয়ের কারনে দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখছে। কত না ভালো হত, সরকার যদি দেশী-বিদেশী অনুদান নিয়ে মহাসড়কগুলো বানাতো, জনগনের যানজট-সেশনজটের হায়াতগুলো বাঁচাতো। হোক না রাতের ভোট, জনগনের জন্যে ইনফ্রাস্ট্রাকচারগুলো দাড় করাতে ১২ বছরতো কম সময় ছিল না!