বেচারী! একটু উচ্চবিলাসীই হয়তো ছিলো। সেই সুযোগটাই নিয়েছে শিল্পপতি আনভীর। যাচ্ছেতা ব্যবহার করলো, যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল বা স্বাদ মিটে গেল তখন পতিতা বলে গালাগাল করলো, এরপর তাকে একেবারে শেষ করে দিতে ৫০ লাখ টাকার চুরির অপবাদ দিল। সমাজে মেয়েটির মুখ দেখানোর সুযোগ ছিল না, একটা টাকার পাহাড়অলার মোকাবেলায় আইন-আদলতে সে কুলিয়ে ওঠতে পারতো না, সে দেহটা এ রকমের শত শিল্পপতির কাছে হাজারবার বিক্রি করলেও ৫০ লাখ টাকার কিঞ্চিৎও জোগাড় করতে পারতো না। তার ওপর মেয়েটিকে রক্ষিতা, পতিতা ও দেহব্যবসায়ী হিসেবে প্রচারের জন্য পালিত মিডিয়া, পতিত বুদ্ধিজীবী ও চাটুকার সাংবাদিক তো ছিলই। তো কি করতে পারতো মেয়েটি? মামুনুল হক ইস্যুতে লাইভ, টকশো, শিরোনামের পর শিরোনাম, প্রতিবেদন, উপসম্পাদকীয় করে ঝড়তোলা মিডিয়া একেবারে ঝুপসে গেছে। নঈম নিজাম ও ভণ্ডপীর মীর হাবীবদের মুখোশ খুলে পড়েছে। এরা চাটুকার, তোষামুদে, পাচাটা গোলাম। এখন কোনো লাইভ হয় না, অডিও-ভিডিও ফাঁস হয় না, কলাম বা উপসম্পাদকীয় বের হয় না, ভাসুরের নামটা পর্যন্ত এ মিডিয়া মুখে নেয় না। বোন ও মেয়েদের বলব, নিজের আত্মসম্মান ও ইজ্জত বড়ই অমূল্য। দুনিয়ার কোনো মূল্যই এর হয় না। গরীব ও মধ্যভিত্ত হলে কি হবে আত্মসম্মান ও ইজ্জতই তোমার বড় সম্পদ। কোনো কিছুরই বিনিময়েই এটি তুমি হারিয়ো না। সমাজ তোমাকে পতিতা বলবে, টাকাঅলারা ব্যবহার করে টিস্যুর মতো ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে, আইন-আদালত-মিডিয়া কোথাও তুমি ইনসাফ পাবে না, সবকিছুই ওদের কাছে হয় বিক্রি হয়ে গেছে অথবা জিম্মি। বাবা-মায়ের উচিত নিজের সন্তানদেরকে সামর্থ্যের মধ্যেই আত্মসন্তুষ্ট হতে শেখানে, আত্মসম্মান ও ইজ্জত নিয়ে বড় হতে শিক্ষা দেওয়া এবং লোভ ও উচ্চবিলাসমুক্ত মানিসকতা গড়ে তোলা। পড়াশোনা, উচ্চতর শিক্ষা, হাতের কাজ, পেশাগত দক্ষতা, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগী করে তোলা। সততার সাথে জীবন-যাপন ও হালাল উপার্জনের শিক্ষা দেওয়া। ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধ বজায় রাখা। (উল্লেখ্য., বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীর মোবাসারাত মুনিয়া নামের এক যুবতিকে প্লাটে দুইমাস ভোগ করার পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় আদালত অভিযুক্তকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেই বিশেষভাবে বিদেশ পাড়ি দেয়।)