সম্প্রতি পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মোট কতগুলো পারমাণবিক অস্ত্র আছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের মতে, রাশিয়ার প্রায় ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে। অনুমান করা হয়, এর মধ্যে প্রায় ১৫০০ ওয়ারহেডের বয়স অনেক বেশি হওয়ায় সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। বাকি সাড়ে ৪ হাজারের বা এরও বেশি অস্ত্রের মধ্যে অধিকাংশকেই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এগুলো মূলত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট জাতীয়, যা অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এর বাইরে যেসব অস্ত্র রয়েছে সেগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট, কম ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্র; এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে বা সমুদ্রে স্বল্প-পরিসরের হামলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রাশিয়ার প্রায় দেড় হাজার পারমাণবিক অস্ত্র বর্তমানে ‘মোতায়েন’ রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিমান ঘাঁটি বা সাবমেরিনে স্থাপন করা আছে। রাশিয়া ছাড়া আরও ৮টি দেশের পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এগুলো হলো চীন, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাটোর আছে ৫ হাজার ৯৪৩টি পারমাণবিক অস্ত্র। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজার ৪২৮টি, ফ্রান্সের ২৯০টি এবং যুক্তরাজ্যের ২২৫টি। এছাড়া চীনের ৩৫০টি, পাকিস্তান ১৬৫টি, ভারতের ১৬০টি, ইসরায়েলের ৯০টি ও উত্তর কোরিয়ার ২০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। পারমাণবিক অস্ত্র থাকা ৯টি দেশে মধ্যে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি-এনপিটিতে সই করেছে।ইউক্রেনের কাছে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন।