গ্রামীণ জনপদের ভূমিহীন মানুষকে ঋণ সুবিধা দিতে ১৯৮৩ সাল গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিক এ উদ্যোগকে দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে এরপর তিনি প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১১ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে। এর পর থেকে তিনি নিজের গড়ে তোলা ট্রাস্ট, সামাজিক উদ্যোগ ও ব্যবসা নিয়েই আছেন। গ্রামীণফোনে থাকা গ্রামীণ টেলিকমের ৩৪ শতাংশ শেয়ারসহ তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মূল্য বর্তমানে ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও তার অবর্তমানে এগুলোর হাল ধরবেন কে, সেটি নিয়ে আলোচনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। তথ্যপ্রযুক্তি কার্যক্রম, গ্রামীণ জনগণের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জীবনমান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড গঠন করা হয়। এ কোম্পানির শতভাগ ইকুইটি সরবরাহ করেছে গ্রামীণ কল্যাণ। গ্রামীণফোনসহ ১২টি প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করেছে গ্রামীণ টেলিকম। গ্রামীণফোনের ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের কাছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকালের দর অনুসারে এ শেয়ারের দাম ১৬ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। দেশজুড়ে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যদিকে সামাজিক ব্যবসা প্রসারে ২০১০ সালে গঠন করা হয় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পর্ষদ পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৯৪ সালে গ্রামীণ ফান্ড নামে একটি সীমিত দায়ের অলাভজনক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। নোরাড, সিআইডিএ, এসআইডিএ, ইউএসএইড ও ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থ সাহায্যে গঠিত সোস্যাল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড (এসভিসিএফ) থেকে গ্রামীণ ফান্ড প্রতিষ্ঠা করার সময় ৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে এসভিসিএফ ফান্ড থেকে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোগে গ্রামীণ কল্যাণ নামে আরেকটি অলাভজনক সীমিত দায়ের কোম্পানি গঠন করা হয় ১৯৯৬ সালে। পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ ফান্ড থেকে ১৫টি ও গ্রামীণ কল্যাণ থেকে ১৩টি প্রতিষ্ঠান গঠনে একক ও যৌথ উদ্যোগে ইকুইটি ও ঋণসহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে দেশে-বিদেশে আরো ১১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। গ্রামীণ কল্যাণের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকম আরো ১২টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করছে। বর্তমানে যেসব আইনের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গড়ে তোলা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, ভবিষ্যতেও সেগুলোকে একইভাবে চলতে দেয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, ভবিষ্যতেও সেভাবে চলতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠানগুলোকে এভাবেই চলতে দেয়া উচিত। গ্রামীণ ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ ব্যবসা সেবা লিমিটেড, গ্রামীণ বাইটেক লিমিটেড, গ্রামীণ সাইবারনেট লিমিটেড, গ্রামীণ নিটওয়্যার লিমিটেড, গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, গ্রামীণ সলিউশনস লিমিটেড, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিমিটেড, টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড, গ্লোব কিডস ডিজিটাল লিমিটেড, গ্রামীণ ইনফরমেশন হাইওয়ে লিমিটেড, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিমিটেড, রফিক অটোভ্যান ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ শিক্ষা ও গ্রামীণ সামগ্রী। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী ও সদস্যদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ কল্যাণ গঠন করা হয়। গ্রামীণ কল্যাণের অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ নিটওয়্যার, গ্রামীণ ব্যবসা, গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিমিটেড, গ্রামীণ সলিউশন লিমিটেড, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড, গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিমিটেড, গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, গ্রামীণ ফ্যাব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশনস ও গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন। মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিতে ১৯৯৬ সালে গঠন করা গ্রামীণ ব্যবসা সেবা লিমিটেড ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে অ্যানিমেশন ও মাল্টিমিডিয়া সেবা প্রদানের জন্য ২০০২ সালে গঠিত গ্লোব কিডস ডিজিটাল লিমিটেড ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামাদি উৎপাদন ও বাজারজাতের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ বাইটেক লিমিটেড কোম্পানিটির গঠন করা হয়। ইন্টারনেট সুবিধা, সফটওয়্যার, ওয়েব ও নেটওয়ার্ক-সংক্রান্ত সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় গ্রামীণ সাইবার নেট লিমিটেড। তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য ২০০১ সালে গঠন করা হয় গ্রামীণ ইনফরমেশন হাইওয়ে লিমিটেড। দেশেই সব ধরনের পণ্য উৎপাদন করে দেশে ও বিদেশে সরবরাহের উদ্দেশ্যে ১৯৯৬ সালে গঠন করা হয় গ্রামীণ সামগ্রী। থ্রি ও ফোর হুইলার অটোভ্যান উৎপাদনের জন্য ২০০২ সালে গঠিত হয় রফিক অটোভ্যান ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড। গরিব উদ্যোক্তাদের সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি পণ্য বিপণনে সহায়তা ও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি সুবিধা দিতে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ। মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। শতভাগ রফতানিমুখী কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ নিটওয়্যার লিমিটেড। ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠন করা গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিমিটেড লাভজনক না হওয়ায় ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গ্রামীণ সলিউশন গঠন করা হয়। গ্রামীণ জনগণের পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় গ্রামীণ সামগ্রী পূর্বাঞ্চল। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে সহযোগিতা করে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ সামগ্রী উত্তরাঞ্চল। গ্রামীণ শক্তি সামাজিক ব্যবসা লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রপাতি বিপণন, বায়োগ্যাস প্লান্ট ও উচ্চমানসম্পন্ন চুলা তৈরির লক্ষ্যে। ২০১০ সালের মার্চে গ্রামীণ ট্রাস্ট ও গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান নার্সিং কলেজের যাত্রা হয়। জাপানের কাইশু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজোকি ক্যাম্পাসের মাধ্যমে গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাবটি গঠন করা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাব জিএমবিএইচের ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইউনূস সেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিবন্ধিত গ্রামীণ আমেরিকা ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠানটি গঠন করা হয় সেখানকার স্বল্প আয়ের উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার জন্য। নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রমের ধারণাকে বিস্তৃত করা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ইউনূস সেন্টার ট্রাস্ট গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিবেশবান্ধব, নবায়নযোগ্য ও সাশ্রয়ী জ্বালানির বাজার বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামীণ ইনটেল সোস্যাল বিজনেস লিমিটেডে গ্রামীণ ট্রাস্টের দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কম্পিউটার সেবা দেয়ার জন্য গ্রামীণ কমিউনিকেশনস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের সব ধরনের কম্পিউটার সরঞ্জাম এ প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়। লুক্সেমবার্গে নিবন্ধিত গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে। প্রতিষ্ঠানটির ক্যাপিটাল ফান্ড সরবরাহ করেছে গ্রামীণ ট্রাস্ট। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য সামাজিক ব্যবসা হিসেবে গ্রামীণ হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি ও বিপণনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। সম্ভাব্য আইটি ফার্মের কাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ আইটি পার্ক। ১৯৮৯ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের গ্রামীণ ট্রাস্ট গঠিত হয়। ২৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এর কার্যক্রম চালু হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি অনুদান ও ঋণে পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের অনুদানে নোবেল লরিয়েট ট্রাস্ট গঠন করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে এ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। মূলত ইউনূস সেন্টারকে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় কৃষকদের কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তার উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ইউকিগুনি মুইতাকি লিমিটেড গঠন করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ শিক্ষার ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। মত্স্য ও পশুসম্পদ উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ মত্স্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট থেকে এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। গ্রামীণ জনসাধারণের জন্য খাদ্যোৎপাদন ও খাদ্যনিরাপত্তাকে সামনে রেখে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এ প্রতিষ্ঠানের মূলধন সরবরাহ করেছে। আর্সেনিকদুর্গত মানুষের জন্য সুপেয় পানি সবরাহের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ভিওলিয়া ওয়াটার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। সামাজিক ব্যবসাস প্রসারে বিএএসএফ গ্রামীণ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার প্রসারে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ শিক্ষা গঠন করা হয়। গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ বিকাশ, গ্রামীণ নিটওয়্যার, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ টেলিকম এ প্রতিষ্ঠানের মূলধন সরবরাহ করে। মূলত তুলা ও হাতে তৈরি পণ্য উৎপাদনে সহায়তা করতে গণস্বাস্থ্য গ্রামীণ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড গঠন করা হয়। হাতে তৈরি তাঁতবস্ত্রের মানোন্নয়নের জন্য গ্রামীণ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ সালে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গ্রামীণ হেলথ কেয়ার ট্রাস্টের যাত্রা হয়। পরিবেশবান্ধব নিটওয়্যার কারখানা হিসেবে গ্রামীণ ফ্যাব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশনস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে মূলধন সরবরাহ করে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম। গ্রামীণ অঞ্চলে সামাজিক ব্যবসার মার্কেটিং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড প্রতিষ্ঠান করা হয়। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তার অবর্তমানেও প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই পরিচালিত হবে। আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।