সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচনের আয়োজন করে মানবিক ও সমাজকল্যামূলক সংস্থা ‘মনজিল’। বই দুটি হলো ‘নবীজির ছেলেবেলা’ ও ‘মানুষের শত্রু শয়তান’। মনজিল’ এর সভাপতি ড. আলাউদ্দীন আজহারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক আলাউদ্দীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোস্তফা কামিল মাদানী। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত হন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লা ও মাওলানা মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, প্রধান মুহাদ্দীস আলমশাপাড়া আলিয়া মাদ্রাসা, রাঙ্গুনিয়া। আলোচনায় অংশ নেন- মাওলানা মুজিবুল হক, প্রভাষক- দারুল আনসার চট্টগ্রাম, মাওলানা সামিউদ্দীন কাউসার, প্রভাষক- সেনাবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, অনলাইনে যুক্ত হয়ে ঢাকা হতে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট লেখক, দারুল ফুরকানের পরিচালক মাওলানা আসাদুজ্জামান। প্রধান অথিতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ব্যতিক্রম ধর্মী প্রতিষ্ঠান জামেয়া দারুল মা’রিফে আমরা যাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আজকের লিখক তাদেরই একজন। আমাদের মেহনতের প্রতিফল আজ নিজ চোখে দেখে যেতে পেরে আমরা আনন্দিত, গর্বিত। প্রিয় ছাত্র জমিরের জন্য দোয়া করি। তার কলমকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। বিশেষ অথিতির বক্তব্যে খন্দকার হামিদুল্লাহ বলেন, জালিম আর মাজলুমের বিষয়টি লেখালেখির জগতেও রয়েছে। লেখক-পাঠক-প্রকাশক মিলে বিষয়টির উদ্ভব হয়। লেখকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সাধ্যের ভেতর বিষয় নির্বাচন করা দরকার। মাওলানা দিদারুল ইসলাম বলেন, আমাদের বন্ধুদের মাঝে ছাত্রাবস্থায় জ্ঞান ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ছিল। বন্ধুবর জমির বিন মাহমূদের দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে, আমি খুবই আনন্দিত। তার সফলতা কামনা করি। মাওলানা মুজিবুল হক সিরাজ বই দুটি নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। মাওলানা সামিউদ্দীন কাউসার দারুল মা’রিফের সহপাঠি হিসেবে লেখকের স্মৃতিচারণ করেন। মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের শোকরিয়া জ্ঞাপন বক্তব্যে লেখক আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন- একজন লেখকের জন্য এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে, শাসন আর সোহাগের মাধ্যমে যিনি আপন ছাত্রকে গড়ে তোলেছিলেন আজ লেখালেখির জগতে প্রেরণার বাতিঘর হয়ে ছাত্রের বইয়ের মোড়ক উম্মোচনে মূল্যবান সময়কে কোরবানী দিলেন। ‘মনজিল’ সম্পর্কে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিখক বলেন, মনজিলের এই আয়োজন আমার লেখক স্বত্বার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। বই দুটি লেখার উদ্যেশ্য বর্ণনা করেন লেখক। লেখালেখির প্রেরণায় মুহতারাম ওস্তাজ ও বন্ধুদের ভূমিকার কথা স্বরণ করেন। সমাপনি বক্তব্যে 'মনজিল' এর সভাপতি সেবামূলক কর্মকান্ডের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ‘মনজিল’ এর সহযাত্রী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত্ব আহ্বান জানান এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।