মিয়ানমারে ২৭শে মার্চ সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এবার সেই সশস্ত্র বাহিনী দিবসেই (শনিবার) গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রু রক্তপাত বন্ধে বিশ্ববাসীকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে সম্ভব না হয়, প্রয়োজনে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পশ্চিমা বিশ্বও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়- একদিনে ১১৪ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন মোট ১২ টি দেশের প্রতিরক্ষাপ্রধানরা। কোনো ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এমন জোটবদ্ধ হয়ে নিন্দা জানানোর ঘটনা খুবই বিরল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড রোববার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা জানায়। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ভালো সম্পর্ক থাকলেও তারা পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সাথে মিলে এই প্রথম এশিয়ার অন্য একটি দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ইস্যুতে নিন্দা জানালো বলে জাপানি সাময়িকী নিকেই এশিয়া নিশ্চিত করেছে। এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে শনিবার রাজধানী নেপিদোতে বর্ণাঢ্য বার্ষিক কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। কিন্তু গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণে এ বছর অনেক দেশই কুচকাওয়াজের ওই রাষ্ট্রীয় আয়োজনে প্রতিনিধি পাঠায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবারের ওই কুচকাওয়াজে বিশ্বের আটটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেনঃ রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লাওস এবং থাইল্যান্ড।রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।।