মাইকিং হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। সন্ধ্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে করা এই মাইকিংয়ে জনসাধারণকে বিপদ এড়াতে ঘরে ফেরার তাগিদ দেয়া হয়। অবশ্য দিনভর এখানে প্রশাসনের কোন তৎপরতাই চোখে পড়েনি। হরতাল ও অরাজক পরিস্থিতিতে সারাদিনই ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন জেলা শহরের মানুষ। হরতাল চলাকালে আক্রান্ত হন বাংলাদেশে শীর্ষ আলেম ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার হেফাজত আমীর পীর আব্দুল হামীদ। শহীদ করা হয় এ পর্যন্ত ৭ জনকে। এদিকে শহরে ভূতুরে অবস্থা বিরাজ করছে। বিদুৎ নেই অনেক এলাকাতে। শহরের রাস্তাঘাট জনমানুষশূন্য। হেফাজত কর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্ররা ঘরে ফিরে গেলেও রাতে নানা জায়গায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। সাধারণ জনগণ মনে করেন হরতালকারীদের মারাও হল আবার তাদের ফাঁসানোর জন্যও সরকারী দলের লোকেরা এই কান্ড ঘটানো হতে পারে। ১০ টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও এরপর কোথাও আর তাদের দেখা যায়নি।