আফগানিস্তানে ১২ বছরের বেশি বয়সী কোনও স্কুলছাত্রী আর প্রকাশ্যে গান গাইতে পারবেন না। বিশেষ করে পুরুষদের সামনে কোনোভাবেই গান গাওয়া যাবে না। এমনকি পুরুষ শিক্ষকরা স্কুলে বা অন্য কোথাও মেয়েদের গান শেখাতে পারবেন না। সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করেছে আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর ডয়েচে ভেলের। নতুন নিয়মে, কেবল শতভাগ নারী সমাবেশেই গান গাওয়ার অনুমতি পাবে আফগান মেয়েরা। আফগান সরকার বলছে সেদেশের মানুষের চাহিদার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তারা তা করেছে। তবে পশ্চিমা উলঙ্গ সংষ্কৃতির ধারক বাহক কিছু বিপদগামি আফগান নারী এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। পশ্চিমা অশ্লিলতা ছড়ানো মাধ্যম গান। সে গানের পক্ষে নিয়ে আফগান বাসির মন মানসিকতা ও সংষ্কৃতির তোয়াক্কা না করে এবং আফগানিস্তানের আভ্যন্তরিণ বিষয়ের প্রতি সম্মান না জানিয়েই বহিঃবিশ্বের কিছু লোক গেল গেল বলে চিৎকার করছে। তারা বলছে, আফগান সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তালেবানের শান্তি আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত এর কোনও সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি। তবে ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটির সরকার এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজগুবি সব মিথ্যা তথ্য হাজির করছে। তারা বলছে, তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, গান গাওয়া, শিল্পচর্চায় অনেক নিষেধাজ্ঞা ছিল। তালেবানপরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছিল। কিন্তু দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার এই নির্দেশনা জারি হওয়ার পরপরই প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগতিশীল অশ্লিলতা আমদানিকারী কিছু আফগান নারী। অনেকে এর জন্য সরাসরি আফগান শিক্ষামন্ত্রী রঙ্গিনা হামিদিকেও আক্রমণ করছেন। তাদের অভিযোগ, হামিদি নিজেও নারী আন্দোলনের অংশীদার ছিলেন। তিনি কীভাবে এমন নির্দেশনা জারি করলেন? তবে আফগান প্রশাসনের জানিয়ে দিয়েছে, অভিভাবকদের অনুরোধেই মেয়েদের গান গাওয়ায় এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দেশটির সব স্কুলেই এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালদের এ বিষয়ে আফগান সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নির্যাতিত ও ভুক্তভোগি নারীরা মনে করেন, এর দ্বারা নারীদের সম্মান বাড়বে, নিরাপত্তা বাড়বে। তারা এও মনে করেন, আবর দেশগুলোর মত নারী নির্যাতন শতভাগ কমানোর জন্য এ রকম সকল অশ্লিল আযোজন বন্ধ হওয়া দরকার। মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে এর চর্চা হওয়া দরকার। এর দ্বারা মুসলিম দেশের ও মুসলিম জন সাধারণের সম্মানও বাড়বে বলে তারা মনে করেন।