পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনায় জড়িত ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও দুদকের কর্মকর্তাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পি কে হালদার কাণ্ডে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা এবং এ ঘটনায় করা মামলার আসামিদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পদক্ষেপও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। এ ছাড়া পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানতে চাওয়া হয়েছে। ১৫ মার্চের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। 'পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক' শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২১ জানুয়ারি পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা তলব করেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কর্মরত সেই কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয়সহ ওই তালিকা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। সোমবার ওই তালিকা দাখিলের জন্য সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দিন ধার্য করেন আদালত।