আল জাজিরার প্রতিবেদনে অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে যেগুলো দিয়ে আওয়ামী সরকার আপত্তি বা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে। তবে যে পয়েন্টটিকে আল জাজিরা ইস্যু বানিয়েছে অর্থাৎ জেনারেল আজিজের পরিবারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেটি অনেকাংশেই সত্য। এছাড়া জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান হবার পর সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নৈতিকতাকে অনেকটাই শেষ করে দিয়েছে। এখনকার সেনাবাহিনীর অনেক অফিসাররা ঘুষ খায়, নারী কেলেঙ্কারী করে রাষ্ট্রের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়। এটা সম্ভব করেছে জেনারেল আজিজ। জেনারেল আজিজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত সেনাপ্রধান। কিন্তু আল জাজিরার উক্ত রিপোর্টটি শুধু সেনা প্রধানকে ভিলেন বানানোর জন্য নয় এখানে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরাও রয়েছে। উক্ত মহলটি ২০০৮ সালে মাইনাস ওয়ান করে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে বের করে এখন আরেকটি মাইনাস ওয়ান তথা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এই চেষ্টাটি চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার পতন হলে উক্ত মহলটি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের অনেক বিচারপতি, বেশিরভাগ বড় মিডিয়া, সুশিল সমাজ তাদেরকে শতভাগ সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এটা বড় আসঙ্কার কারণ যে, উক্ত মহলটির বিশ্বাস ও চেতনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তারা একবা ক্ষমতায় আসতে পারলে সব জায়গায় তারা কাউন্টার কালচারকে চালু করবে। সেটা আইন করে লিগালাইজড করার মাধ্যমে। অর্থাৎ কুখ্যাত কামাল আতাতুর্তের তুরস্কে পরিণত হবে বাংলাদেশ। আমি একটা কথা আপনাদের বারবার বলে এসেছি যে, বাংলাদেশের জন্য দেশীয় রাজনৈতিক দল দুটি- এক. বিএনপি, দুই. আওয়ামীলীগ। অন্যান্য ছোট ছোট কিছু দেশীয় পার্টিও রয়েছে যেটা গোনার বাইরে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে বিএনপি কিছুটা বেশি খাপ খায়, আওয়ামীলীগ কিছুটা বাম ঘেষা। তবে উভয়েই দেশীয় পার্টি। কিন্তু বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে বের করে দেয়া-ই আওয়ামীলীগের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতাদের গুম, খুন, মিছিল-মিটিংয়ে বাধা দেয়া, ভূয়া মামলায় গ্রেপ্তার, ভোট চুরি ইত্যাদি বিএনপিকে প্রচুর দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে বিএনপি এখন আর বিরোধী দলের ভুমিকায় নেই বললেই চলে। তাই বিরোধী দলের ভূমিকায় এখন ভিনদেশীয় সংস্কৃতি ও চেতনা লালনকারী মাইনাস টু করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত মহলটি। ২০০৮ সালে উক্ত মহল এটিই চেয়েছিল। তারা অনেক বেশি শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক ফিল্ডে তাদের ক্ষমতা অনেক বেশি বিএনপি কিংবা আওয়ামীলীগ থেকে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করবে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার কারণে তাদের জন্য সেটা আরো সহজ হবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে- শেখ হাসিনার পতনই শেষ কথা নয়। হাসিনার পতনের পর কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নইলে দেশ সিরিয়া লিবিয়ায় পরিণত হতে পারে। যদি জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে খুব বেশি সমস্যা হবে না, কিন্তু গণস্বাস্থের জাফরুল্লার মত লোকের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসে তাহলে দেশের জন্য বিরাট হুমকী হয়ে দাঁড়াবে। কারণ উক্ত মহলটি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে তারেক রহমানের বিএনপির বড় একটা সাপোর্ট অলরেডি হাইজ্যাক করে ফেলেছে। -ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহিত