এইসএসসি পরীক্ষার্থী ইসরাত জাহান মিম, পড়াশোনার পাশাপাশি নার্স হিসেবে চাকরি করতেন নরসিংদীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তার সহপাঠী মীর মাইনুল হকও চাকরি করতেন স্থানীয় একটি ডেন্টাল চেম্বারে। পড়াশোনা করতে গিয়ে সহপাঠী হওয়ায় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে দীর্ঘদিনের প্রেম। যদিও উভয়ের পরিবার জানত তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছু নয়। এদিকে গোপনে তারা প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিল। ইতোমধ্যেই প্রেমিকা মিম যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন, সেটির মালিক ডাক্তারকে হঠাৎ করেই গোপনে বিয়ে করে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি জেনে প্রেমিক মাইনুলও অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেন। এতেই বিপত্তি বাধে। কয়েক মাস একসঙ্গে থাকার পর প্রেমিকা মিম ও ওই ডাক্তারের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে প্রেমিক মাইনুল বিয়ে করে ফেলেছেন জেনে তাকে ভয়ংকরভাবে ঠান্ডামাথায় হত্যার পরিকল্পনা করেন মিম। তার সেই পরিকল্পনা সফলও হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর পলাশে। নরসিংদীর পলাশে গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে মীর মাইনুল হক (২৫) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছেন ইসরাত জাহান মিম নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী।