কুড়িগ্রামের উলিপুরে রাস্তার কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠতে শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিন্মমানের সামগ্রী ও পরিমাণে কম দেয়ায় তিন দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলসহ জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় মানুষজনের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর দাবি, স্থানীয় লোকজন কার্পেটিং সাবল দিয়ে তুলে ফেলছে। জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের তেজারমোড় থেকে ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫৪৫ মিটার পাঁকা রাস্তার সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। প্রায় ৪২ লাক টাকার সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান রংপুরের এনএন এন্টারপ্রাইজ। কাগজে কলমে এনএন এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও কাজটি কিনে নেন উলিপুরের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। গত বুধবার রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়। কিন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারা ভাবে কার্পেটিং করায় তিন দিনের মাথায় তা উঠে যাচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাস্তাটির কাজ করা হয়। কিন্ত এসকেভেটর (ভেকু) রাস্তাটির উপর দিয়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। শুনেছি স্থানীয় কিছু লোক কার্পেটিং তুলে ফেলার চেষ্টা করছিলেন বলেও জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী (৯০),রুপালি(৪৫),আবু সুফিয়ান(৪২), রিকশা চালক শহিদুল ইসলাম (৪৬)সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতের আধারে এসে পিচ করেন ঠিকাদারের লোকজন। সকালে উঠে দেখি কোন রকমে পিচ করেছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় কাজ করার তিন দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনএন এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুল আলম বলেন, কাজের মান ভাল হয়েছে। এলাকার লোকজনের সাথে ঝামেলা হওয়ায় সাবল দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলছেন তারা।