চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে খুব হাঁকডাক করে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পক্ষে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। পরে ৪৪ জনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তার নামও আসে। কিন্তু এর দুদিন পরই পরীমণি জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচন করবেন না। তবে সে সময় শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন জানিয়ে ছিলেন, এখন আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরীমণি চাইলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করতে পারেন। অভিনেত্রী করেছেনও তাই। তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে তার প্রার্থিতা যেহেতু প্রত্যাহার হয়নি, তাই শুক্রবারের ভোট উৎসবে ব্যালট পেপারে তার নাম ছিল। তিনি কিছু ভোটও পেয়েছেন। কিন্তু সে ভোটে পাস করতে পারেননি। ৭৯ ভোট পেয়েছেন। কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন। এফডিসিতে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) যখন ভোট চলছিল, তখন পরীমণি তার বাসায় বিশ্রামে। প্রথমত, তিনি মা হতে চলেছেন। দ্বিতীয়ত, মঙ্গলবার গাজীপুরে ‘মা’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে নায়িকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শুটিং স্থগিত করে পরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একদিন চিকিৎসার পর তিনি বাসায় ফেরেন। অসুস্থ থাকায় শুক্রবার ভোট দিতেও এফডিসিতে যাননি পরীমণি। নির্বাচন ছেড়ে দেওয়ায় তিনি কারও কাছে ভোটও চাননি। সে কারণেই নায়িকা কম ভোট পেয়েছেন বলে মন্তব্য পরীমণির ভক্তদের। কেউ আবার বলছেন, নির্বাচনের মাঠে না গিয়ে বাসায় বসে ৭৯ ভোটও কম কিছু নয়। কিন্তু কেন প্রার্থী তালিকায় নাম আসার পরও নির্বাচন ছেড়েছিলেন পরীমণি? অভিনেত্রী সে সময় জানান, তিনি মা হতে চলেছেন। চিকিৎসক তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, নির্বাচন করতে হলে তো মিনিমাম সময় দেওয়া লাগে। সেটা আমি দিতে পারব না। তাই অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে নির্বাচন ছেড়ে দিয়েছি। ১০ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হঠাৎই পরীমণি জানান, তিনি মা হতে চলেছেন। এও জানান, এই সন্তানের বাবা তার ‘গুনিন’ সিনেমার নায়ক শরিফুল রাজ। পরে জানান, গত বছরের ১৭ অক্টোবর তারা বিয়ে করেছেন। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। সেই কথা মতো ২২ জানুয়ারি পরীমণি তার বনানীর বাসায় অভিনেতা শরিফুল রাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন।