শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নতুন করে করোনাভাইরাস বিস্তারের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের খবর না থাকায় এখনই তা বন্ধ করার কথা ভাবছি না। গতকাল সাভারে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদে সঙ্গে আলাপে তিনি জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সারা দেশে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি জোরলোভাবে চলছে, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে টিকাদানে ভাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, এখনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের খবর আমরা পাইনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এ ব্যাপারে নজর রাখছে। আমাদের জাতীয় যে পরামর্শক কমিটি আছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগে আছি, এখনো ভাবছি না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সবাইকে বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। তবে পরে যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীদের প্রথম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, বিপিএটিসির রেক্টর রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। দুই মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৯ জন সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী অংশ নিচ্ছেন। এর আগে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণীকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে গত নভেম্বরে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশেও ২১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।