ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে- পরিবেশবান্ধব সেই সাথে সৌরবিদ্যুতে চালিত চার চাকার কাঠের তৈরি জিপ গাড়ি। রয়েছে বিদ্যুৎ দ্বারা চার্জের ব্যবস্থাও। ঘণ্টায় গতি ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। পরিবেশবান্ধব কাঠের এ গাড়িটি তৈরি করেছেন দুই ভাই মিলে। এই চমকপ্রদ গাড়িটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে মানুষ। গাড়ির উদ্ভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাড়িটি সৌরবিদ্যুতে চলবে। রয়েছে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জের ব্যবস্থাও। একবার চার্জে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম এটি। যার ঘণ্টায় গতি ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। যানটিতে আসন রয়েছে চারটি। এটি তৈরিতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লেগেছে। সময় লেগেছে দুই থেকে তিন মাস। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার হাঁপানিয়া গ্রামের তরুণ উদ্ভাবক এনামুল হক বুলবুল তাঁর ছোট ভাই ইমরানুল হককে নিয়ে দীর্ঘ তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে কাজ করে সৌরবিদ্যুৎচালিত গাড়িটি তৈরি করেন। এনামুল হক বুলবুল বলেন, ‘আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। অনেকের জীপ গাড়িতে চড়ার শখ থাকলেও তারা টাকার অভাবে কিনতে পারে না। তারা যেন অল্প টাকায় সেই জীপ কেনার শখ পূরণ করতে পারে সেজন্য আমা’র এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি খুবই সাশ্রয়ী। বুলবুল আরো বলেন, ‘নতুন কিছু করার আগ্রহ নিয়ে পরিবেশবান্ধব চার চাকার এই জিপ গাড়িটি তৈরি করেছি। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। পরিবেশ ও জ্বালানি খরচের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাঠ ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎচালিত চার চাকার জিপ গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এতে জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।’ তিনি আরও বলেন, সরকার যদি এগিয়ে আসে তাহলে দেশেই এই জীপ গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এটা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করাও সম্ভব। এটি খুব সহ’জেই যে কেউ চালাতে পারবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার কাজ আরও বৃদ্ধি পাবে। ‘ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুল আজিজ আকন্দ বলেন, ‘বুলবুল একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তাঁর উদ্ভাবিত এ যানটি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন দপ্তর থেকে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।’