কক্সবাজারে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করার পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার তা দাখিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেন। আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। তবে বিভিন্ন সংস্থা ঘটনা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে গরমিল আছে। তাই প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিটটি করা হয়। চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে। রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ওই ঘটনা কক্সবাজারের দায়রা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর গত ২৭ ডিসেম্বর রিট আবেদনকারীর করা আবেদন যুক্ত করা হয়েছে। আবেদনে ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে সংঘটিত দলবদ্ধ ওই ধর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। রিটে দেখা যায়, রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই আবেদনের (২৭ ডিসেম্বর) ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে ও প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনসচিব, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নামেন ভ্রমণে আসা ঢাকার ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে আশিক নামের এক ব্যক্তির ধাক্কা লাগে। এর জেরে সন্ধ্যায় ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন। পরদিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা (২৮), রিয়াজ উদ্দিন (৩০), অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।