অথচ রোনালদোর ‘ঘরে ফেরা’–টা কী দুর্দান্তই না হয়েছিল! শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইউনাইটেডের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেবেন—এমনটা মনে করা হলেও শেষমেশ নিজের বেড়ে ওঠার ক্লাবেই ফিরেছেন তিনি। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ব্যাপার ছিল যেন সেটি! ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার এই কাহিনির উপযুক্ত পরিসমাপ্তি হতো তখনই, যখন রোনালদোর ছোঁয়ায় আমূলে বদলে যেত ইউনাইটেড। যদি আবারও ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষে উঠে আসত তারা। মৌসুম এখনো শেষ হয়নি, ইউনাইটেডের শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ তাই আছে। কিন্তু রোনালদো আসার পর গত কয়েক মাসে ইউনাইটেডের অবস্থা সুদিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে না মোটেও। পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে আছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগেও অবস্থা ঠিক সুবিধার নয়। রোনালদো নিজেও বোঝেন এসব। বোঝেন বলেই দলের এই অবস্থায় মোটেও সন্তুষ্ট থাকতে পারছেন না। আর পারছেন না বলেই তাঁর অসন্তুষ্টির কথা এবার প্রকাশ্যে এল। নতুন বছর শুরুর পোস্টে রোনালদো নিজেই ক্লাব নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। নতুন বছর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিবার নিয়ে একটা হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন রোনালদো। আগের বছরে কী কী করেছেন, পোস্টে সেটার ফিরিস্তি যেমন আছে, আছে বর্তমান ক্লাব নিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির কথাও, ‘২০২১ সাল শেষ হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আমার ৪৭ গোল করা সত্ত্বেও বছরটা খুব সুবিধার ছিল না। দুটি আলাদা ক্লাবে পাঁচজন আলাদা কোচের অধীন খেলেছি। জাতীয় দলের হয়ে ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে খেলেছি, এখনো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি।’ জুভেন্টাস আর পর্তুগাল নিয়ে রোনালদোর সন্তুষ্টি ঝরে পড়লেও নিজের বর্তমান ক্লাব নিয়ে তেমন মধুর কথা শোনা যায়নি রোনালদোর কাছ থেকে, ‘জুভেন্টাসের হয়ে এ বছর ইতালিয়ান কাপ ও সুপার কাপ জিতেছি। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছি। পর্তুগালের হয়ে ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটাও সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরে আসাটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল মুহূর্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু ইউনাইটেডে আমাদের অর্জন নিয়ে আমি খুশি নই। আমাদের কেউই সুখী নয়, আমি নিশ্চিত। আমরা জানি, আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে, আরও ভালো খেলতে হবে, আরও বড় কিছু অর্জন করতে হবে।’ দেখা যাক, রোনালদোর এই বার্তা সতীর্থদের কাছে পৌঁছে কি না!