রাশিয়ার পার্ম শহরে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুকধারী গুলি করে অন্তত আট জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন- হামলাকারী সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে পায়ে হেঁটে ঢোকে এবং গুলি চালাতে শুরু করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ভেতরে প্রতিবন্ধকতা তুলে বাঁচার চেষ্টা করে; অন্যদের দেখা যায় প্রাণভয়ে জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিতে। পুলিশ হামলাকারীকে আহত করে তাকে আটক করে। হামলাকারী একজন ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে পার্ম স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি মস্কোর প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার (৮০০ মাইল) পূব দিকে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের জানালা দিয়ে তাদের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে হামলাকারীর হাত থেকে বাঁচতে নিজেরা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ছে। কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে বন্দুকধারী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে সে একা এই হামলা চালিয়েছে এবং এর পেছনে তার কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, ইভান পেচিশচেফ বলেছেন তিনি শিক্ষার্থীদের একটি ভবন থেকে ছুটে পালাতে দেখেছেন এবং তিনি যখন ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছিলেন তখন লোকেদের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন। "তারা ভয়ে জানালা থেকে লাফ দিচ্ছিল, চিৎকার করছিল," তিনি বলেন। "একজন ছাত্র আমাকে বলে গুলি চলছে। আমি গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। সবাই যে যেদিকে পারে ছুটতে শুরু করে। আমি দ্বিতীয় ভবনে আমার ক্লাসের দিকে যাই। যেতে যেতে সমানে গুলির শব্দ শুনছিলাম।" প্রফেসর পেচিশচেফ বলেন, পার্ম ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে প্রায় দশটি ভবন আছে। নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথে সবগুলো ভবন এবং ভবনগুলোতে যাবার সব প্যাসেজ বন্ধ করে দেয়। পার্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দেয়া হয় যে, যেসব শিক্ষার্থী ভবনের ভেতরে আছে তারা যেন ক্লাসরুমের ভেতরে থাকে। "ক্লাসরুমে প্রায় ৬০জন ছিল। আমরা ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে দিই এবং দরজার সামনে চেয়ার দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করি," রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন একজন ছাত্র সেমিয়ন কারিয়াকিন। এ বছর আরও আগের দিকে রাশিয়ার কেন্দ্রে কাযান শহরের একটি পুরনো স্কুলে ১৯ বছর বয়সী এক বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে নয় জনকে হত্যা করেছিল। সূত্র: বিবিসি