আর মাত্র ৪ দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদে পেয়াজের বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। একদিনেই বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৩৪১ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকায় গত ৪/৫ দিন ধরে পেয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর এই দুই জাতের পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। নাসিক জাতের পেয়াজ পাইকারীতে প্রকারভেদে ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২৮ টাকা থেকে ২৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ৪/৫দিন ধরে একইদামে এসব পেয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, আর মাত্র ৪ দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযাহা। এসময়ে দেশের বাজারে পেয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষ্যে টানা ৬দিন বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকবে। যার কারনে আগামী ১৮ জুলাই রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আমদানি হবে এরপর ১৯ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে ২৪ জুলাই পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এ কারণে দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেয়াজের আমদানি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনেই বন্দর দিয়ে ৪৭টি ট্রাকে ১ হাজার ৩'শ ৪১ টন পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব পেয়াজ প্রকারভেদে ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২৮ টাকা থেকে ২৯ টাকা আর নাসিক জাতের পেয়াজ ৩১ টাকা থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে এলসি দেওয়া রয়েছে আগামী এই দুদিন আরও পর্যাপ্ত পরিমানে পেয়াজ আমদানি হবে। তাতে করে ঈদকে ঘিরে দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিবে না তেমনি দাম অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন। তবে পেয়াজ আমদানি করে ট্রাকের অভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদেরকে।সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে করে ট্রাকের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে তেমনি করে বাড়তি ভাড়া পাওয়ায় ট্রাকগুলো ওইসব ভাড়া মাড়তে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠায় বন্দরে ট্রাকের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেয়াজ সরবরাহ করতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেসব ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে সেটির বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। গত সপ্তাহে বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। গতকাল একদিনেই বন্দর দিয়ে ৪৭টি ট্রাকে ১ হাজার ৩'শ ৪১ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে ৩১টি ট্রাকে ৮'শ ২৪ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ৩০টি ট্রাকে ৭৯৭ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। সোমবার বন্দর দিয়ে ৩২টি ট্রাকে ৮৭৬ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। রবিবার বন্দর দিয়ে ২৪টি ট্রাকে ৬৫৬টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে ৩৫টি ট্রাকে ৯৯০টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। আর পেয়াজ যেহেতু কাচামাল তাই কাস্টমসের পরিক্ষন শুল্কায়ন ও শুল্ক আদায় শেষে অতি দ্রুত এসব পণ্য খালাস করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সূত্রঃ একুশে টিভি