গেলো ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আলোচ্য সময়ে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা ২০১৯-২০ অর্থ বছরের চেয়ে ২ লাখ ১০ হাজার ৬১০ কোটি টাকার বেশি। শতকরার হিসেবে ৩৬ দশমিক ১০ ভাগ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। সোমবার (৫ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধ পথে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে প্রনোদনা দিয়ে আসছে সরকার। কোনো কোনো ব্যাংক সরকার ঘোষিত প্রণোদনার সঙ্গে অতিরিক্ত বোনাসও দিচ্ছে রেমিট্যান্সের উপর। এতে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে। যা রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে সহায়তা করেছে বলে মনে করছেন তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গেলো অর্থবছরের শেষে মাস জুনে প্রবাসীরা ১৯৪ কোটি ডলার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পুরো অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এদিকে, গেল অর্থবছর বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৭৪৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে অগ্রনী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা ২৮২ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা ২৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। রাস্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা ১৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গেল অর্থবছরে প্রবাসীরা সরকারী ৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬১০ কোটি ৬২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকে মাধ্যমে ৪১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, বেসরকারি ৩৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ১ হাজার ৮১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, বৈধ পথে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক ৩ শতাংশ হারে প্রানোদনা দিচ্ছে। তথ্যসূত্রঃ একুশে টিভি