বিশ্বে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার এ বিষয়ে সতর্ক করে এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী শ্রবণ সংক্রান্ত এ প্রতিবেদনে সমস্যার মূল কারণ হিসেবে সংক্রমণ, রোগ, জন্মগত ক্রুটি, অতিরিক্ত শব্দ ও জীবনধারাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব সসম্যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে পদক্ষেপ গ্রহণ বাবদ একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রতি বছর মাথাপিছু ১.৩৩ মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রতি পাঁচজনে একজনের শ্রবণ সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যা আগামী তিন দশকে ১.৫ গুণ বেড়ে যেতে পারে। বিশ্বে ২০১৯ সালে ১শ’ ৬০ কোটি লোকের শ্রবণ সমস্যা ছিল। এ সংখ্যা বেড়ে আড়াইশ কোটি হতে পারে। রিপোর্টে শ্রবণ সমস্যার বড়ো ধরণের কারণ হিসেবে চিকিৎসার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। শ্রবণ সমস্যায় ভোগা প্রায় ৮০ শতাংশ লোক এসব দেশে বাস করে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পায় না। এমনকি উন্নত দেশে তুলনামূলক ভালো সুযোগ সুবিধা থাকলেও চিকিৎসায় সুষম বিন্যাস নেই। শিশুদের শ্রবণ সমস্যার ৬০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, শ্রবণ সমস্যা মোকাবেলায় সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণে প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। সূত্রঃ একুশে টিভি