ইলেকট্রনিক স্কিন (ই-স্কিন) এর মাধ্যমে এখন থেকে সহজেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানা যাবে। এতে দূরে বসেই হৃৎস্পন্দন, ডায়াবেটিসসহ নানা তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন চিকিৎসকরা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক টাকাও সমেয়া এই প্রযুক্তির উদ্ভাবক। তিনি জানিয়েছেন, ই-স্কিন খুব সহজেই শরীরে লাগিয়ে রাখা যাবে। ই-স্কিন তৈরির ক্ষেত্রে তিনি সহযোগীদের সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জাপানের গবেষকরা সম্প্রতি অত্যন্ত পাতলা ই-স্কিন তৈরি করেছেন, যা ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করে বুকের কাছে লাগিয়ে রাখা যাবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এ প্রযুক্তি সহজলভ্য হতে পারে। সাম্প্রতিক ই-স্কিন নকশা করা হয়েছে মূলত জাপানের দ্রুত বেড়ে যাওয়া বয়স্ক জনগণের কথা মাথায় রেখে। সিএনএন বলছে, ই-স্কিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নমনীয় উপাদান পলিভিনাইল অ্যালকোহল, যাতে স্বর্ণের একটি স্তর থাকে। ই-স্কিন মূলত পরিধানযোগ্য সেন্সর, যা হৃৎস্পন্দন ও মাংসপেশি নড়াচড়ার বৈদ্যুতিক সংকেত ধরতে পারে। ছোট্ট একটি তারহীন ট্রান্সমিটার বুকের কাছে বাঁধা থাকে, যা হৃৎস্পন্দনের তথ্য নিকটস্থ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে বা ক্লাউডে পাঠায়। এতে অনেক দূরে বসেও চিকিৎসক সে তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ই-স্কিনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন ধরনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা। তা যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ছাড়াই করা যেতে পারে। সূত্রঃ সময় টিভি