স্মার্টফোন কেনায় মানুষ এখন সবচেয়ে গুরুত্ব দেন ক্যামেরায়। কে কত বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা বাজারে ছাড়তে পারে, তা নিয়ে বেশ একচোট প্রতিযোগিতা হয় ফোন তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। যখন আপনি শুনবেন এই ক্যামেরা এত মেগাপিক্সেলের, তখন বুঝবেন ক্যামেরাটির ছবিতে লাখ লাখ পিক্সেলের ছবি তোলা যায়। ডিজিটাল স্ক্রিনের সব ছবি ছোট ছোট বিন্দুর সমন্বয়ে তৈরি হয়। একেই বলে পিক্সেল। ১০ লাখ পিক্সেলে ১ মেগাপিক্সেল হয়। তবে মেগাপিক্সেল বেশি মানেই কি ক্যামেরা ভালো বা ছবি ভাল আসবে? মেগাপিক্সেল কোয়ালিটিকে ধারণ করে না, এটি মূলত সাইজকে বোঝায়। সাধারণ হিসাবে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় তোলা ছবির চেয়ে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় তোলা ছবি ভালো হবে। তবে এখানে দেখতে হবে সেন্সরের আকার। কারণ, দুটি ক্যামেরার সেন্সর যদি একই আকারের হয়, তবে ১২ মেগাপিক্সেলেই বরং খারাপ ছবি আসবে। সেন্সরের আকার একই রেখে মেগাপিক্সেল বাড়ানোর সমস্যা হলো, তখন প্রতিটি পিক্সেলের আকার ছোট হয়ে যায়। আর পিক্সেল ছোট হলে নয়েজ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেন্সরের আকার যত বড় হয়, ছবি তৈরির জন্য ক্যামেরায় তত বেশি আলো প্রবেশ করতে পারে। আর আলো যত বেশি, ছবি তত ভালো। কারণ, এই আলোই ক্যামেরার এক্সপোজার ব্যালান্স, ডাইনামিক রেঞ্জ, এমনকি শার্পনেস ঠিক করে দেয়। আর সে কারণেই ২০ মেগাপিক্সেল ডিএসএলআর ক্যামেরায় তোলা ছবি সাধারণত স্মার্টফোনের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় তোলা ছবির চেয়ে ভালো হয়। তবে স্মার্টফোনের আকার ছোট রাখাও তো জরুরি। প্রযুক্তিবিদরা বলে থাকেন, প্রোসেসর যদি স্মার্টফোনের প্রাণ হয়, তাহলে সেন্সরকে বলা হয় ক্যামেরার হৃৎপিণ্ড। সেন্সর ভালো কাজ করলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব। সেন্সর বুঝতে হলে ক্যামেরার লাইট পরখ করে দেখতে হবে। যে সেন্সর বেশি লাইট সরবরাহ করতে পারে, সেই ক্যামেরাটি কেনা উচিত। সূত্রঃ সময় টিভি