দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে আমরা এমন একটি কঠিন সময় পার করছি যখন আমাদের সমাজে অন্যকে ছোট করতে নানাধরণের অপবাদ দিয়ে অপমান করা হয়। এই গর্হিত অপরাধের ব্যাপারে শায়েখ আহমদুল্লাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা এব্যাপারে কুরআনের সুরা নূরের ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবে বলেছেন, সতী-সাধ্বী-নারীকে যদি কেউ ব্যভিচার অথবা এজাতীয় অন্যকোন অপবাদ দেয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। শায়েখ আহমদুল্লাহ বলেন, এমন অপবাদদাতাদের জন্য শাস্তি হল, কেউ যদি কোন নারীকে মনগড়া মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং কোন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বিচারিকভাবে ৮০ বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন অপবাদদাদাতের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করা হবে না । এছাড়াও আজীবন ইসলামিক আদালতে তারা সাক্ষ্য দেওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলবে। শায়েখ আহমদুল্লাহ আরো বলেন, সূরা নূরের আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তারা ফাসেকদের অন্তর্ভূক্ত হবে এবং তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার লানত বর্ষিত হয়। শায়েখ আহমদুল্লাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে খুব কম অপরাধের ক্ষেত্রে এতো ভয়াবহ চার চারটি শাস্তির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও আমাদের সমাজে বিশেষভাবে নারীদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেনস্থা করা হয়। তিনি বলেন, এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরাম বলেন, এই শাস্তি শুধু নারীদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট নয়, কোন পুরুষের ব্যাপারে এসব অপবাদ দেওয়া হলেও একই শাস্তি বহন করতে হবে অপবাদদাতাকে। তবে যেহেতু ব্যাপারটি নারীদের সাথে বেশি ঘটে তাই কোরআনে কারীমে নারীদের ব্যাপারে বলিষ্ট অবস্থান নেওয়া হয়েছে। অতএব সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া কারো চারিত্রিক ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা ও কোন মুসলমান নারী-পুরুষের চরিত্রে কামিলা লেপন থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাই থেকে হেফাজত করুন।