পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে রাজধানীর ৩’শ ফিট এলাকার সাড়ে ৪০০ শতক জমি ও ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট জব্দ করেছে দুদক। আজ রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আদালতের এক আদেশে তার ওই সম্পত্তি জব্দ করেছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং নিজের স্বজন সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পরিচালনা পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। পিকে কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১জন। এর আগে ২১ মার্চ পিকে হালদারের বিরুদ্ধে আরো পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার বিভাগীয় কার্যালয়ে এসব মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল, ভারপ্রাপ্ত এমডি আবেদ হোসেনসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং ঋণের বিপরীতে কোনও মর্টগেজ ছাড়াই পাঁচটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ৪৩৪ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। দুদক সূত্র আরো জানায়, কাগুজে এসব প্রতিষ্ঠান আসলে পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। পি কে হালদারের মাধ্যমে তারা ভুয়া প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে ঋণ নিয়েছেন। এ কারণে পাঁচটি মামলাতেই পি কে হালদারকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা