সাকিব আল হাসান তার নানা বাড়ি এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, এই নিউজ গতকাল থেকে গণমাধ্যমে ঘুরছে। মসজিদ নির্মাণ করে তিনি কত বড় কাজ করেছেন এবং কতটা ধর্মপ্রাণতার পরিচয় দিয়েছেন- এখানে আলোচনার মূল বিষয়ে এটি নয়। বরং চোখ ফেরানোর আহ্বান অন্য একটি বিষয়ে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফেসবুক লিংকের কমেন্টে সাকিব-আল-হাসান বিরোধী নানারকম বিষোদগার প্রকাশ করছে ইসলামবিদ্বেষী, নাস্তিক্যবাদীদের একটি দল। সাকিব হাসপাতাল বা বিজ্ঞান গবেষণাগার না করে মসজিদ কেন করল, এ নিয়ে তাকে তুলোধুনো করা হচ্ছে। যেন মসজিদ বানিয়ে সে মস্ত বড় অপরাধ করে ফেলেছে! নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের শয়তানজননী তসলিমাও স্ট্যাটাস দিতে ছাড়েনি। এ ঘটনায় একটা জিনিস বোঝা গেল, কয়েক বছর আগে ক্রিকেটার মুশফিক যখন কুরবানীর রক্তমাখা হাত নিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলো, এবং তার বিরুদ্ধে নাস্তিকচক্র হামলে পড়েছিল, তখন মাঝখান থেকে অনেকে বলার চেষ্টা করেছে, 'রক্তমাখা ছবি এভাবে পোস্ট করা মুশফিকের ঠিক হয়নি'। মনে হচ্ছিল 'রক্তে'র পরিবর্তে শান্তিধর্মী কোনো ধর্মীয় তৎপরতায় এদের বিরোধিতা নেই! অথচ দেখুন, এই চক্রই এখন সাকিবের মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে লেগে গেছে। এর মানে হলো, কোরবানির রক্তমাখা ছবি বড় কথা ছিল না, ইসলামবিদ্বেষীদের দরকার ছিল ছুতোনাতা। মসজিদ নির্মাণের পরিবর্তে সাকিব যদি ইসলাম প্রচারমূলক কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে দরিদ্র মানুষের মধ্যে সমাজকল্যাণমূলক সাধারণ কোনো কাজও করতো তাহলেও এরা নিন্দা করতে ছাড়তো না। অপরদিকে (কাল্পনিক অর্থে) সাকিব যদি ওই এলাকায় একটা নেশার বার বানিয়ে দিত, তাহলে এরা বাহ বাহ করতো। এরা মূলত ইসলামবিদ্বেষী। ইসলাম বিদ্বেষের এই সূত্র ও ধারাবাহিকতা সম্পর্কে অনুশীলনশীল মুসলিম-গাফেল মুসলিম-সবার সজাগ থাকা দরকার।