ওলামায়ে কেরাম নবীর ওয়ারিস। আজকের পৃথিবীতে যোগ্যতার বিকল্প শুধুই যোগ্যতা । হিংসা বিদ্ধেষ কিংবা সমালোচনা করে যোগ্যতার মোকাবেলা করা যাবে না। যোগ্যতার মাধ্যমেই যোগ্যদের মোকাবেলা করতে হবে। আরবি, উর্দু, বাংলা, ইংরেজিসহ একাধিক ভাষা জানা আলেমদের জরুরি। আন্তর্জাতিক পৃথিবীতে দাওয়াতের সার্থে ওলাময়ে কেরামের জন্য ইংরেজি শেখা বর্তমানে অত্যন্ত জরুরি। বুধবার (১০ মার্চ) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানাধীন নুরুল উলুম মাদরাসার খতমে কুরআন ও খতমে বুখারি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহিহ বুখারির শেষ দরসের আলোচনায় এসব কথা বলেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাউমিয়ার চেয়ারম্যান মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান। দাওয়াতুল হকের আমির মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, ওলামায়ে কেরাম উম্মতের রাহবার। ওলামায়ে কেরাম যদি আত্মা হয় সাধারন মানুষ তাহলে শরীর। সাধারণ মানুষ যদি শরীর হয়, ওলামায়ে কেরাম তাহলে আত্মা। তাই তাদের যৌথ সম্মিলনের মাধ্যমেই দীনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। আল্লামা মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রহার বা রাগ গোস্বার মাধ্যমে নয় মহব্বত ও যত্ন নিয়ে পড়াতে হবে। উম্মতের প্রতিটি সন্তান আমাদের কাছে আমানত। তারা স্বর্ণের চেয়েও দামি। সঠিক পরির্চার অভাবে একজন ছাত্রও যদি ঝরে যায়; তাহলে আল্লাহর সামনে কেয়ামতের দিন এর জবাব দিতে হবে। জিহাদ প্রসঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, ইসলামে জিহাদ ফরজ, সন্ত্রাস হারাম। দুটোকে মিলিয়ে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া সারাদেশের ওয়ায়েজ ও বক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মসজিদের মিম্বর, ওয়াজের মাঠ দাওয়াত ইলাল্লাহর বিশাল ময়দান। আমাদেরকে বয়ান, প্রজ্ঞা, আলোচনা ও দরদের মাধ্যমে এ মাঠকে ধরে রাখতে হবে। কোনো ভাবেই সঙ্কুচিত হওয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না। ইখলাস, মহব্বত ও সুন্নত মোতাবেক এ ময়দানকে আবাদ করে যেতে হবে। নুরুল উলুম মাদরাসার খতমে কুরআন ও খতমে বুখারির এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল আহাদ, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা উবায়দুল্লাহ আনওয়ারীসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম। নুরুল উলুম মাদরাসার উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা নাসির উদ্দীন রাহমানী।