ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, লেখক, উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী মুশতাক আহমেদকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে আটকে রেখে নির্মম মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে; স্বাধীনতার ৫০ তম বছরে এসে স্বৈরতন্ত্রের এই বিভৎস মহড়া জনতার মনে পরাধীনতার ভয় জাগিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুশতাক আহমেদ কোন খুনি, ব্যাংক লোপাটকারী বা দুর্নীতিবাজ ছিলেন না। তার কথিত অপরাধ ছিলো, সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সচেতনামূলক লেখালেখি ও কার্টুন আঁকা। এমন নিরিহ ধরণের প্রতিবাদ রুখতে সরকার যে বর্বর আচরণ মুশতাকের সাথে করেছে তার তুলনা কেবল ৭১ পুর্ব সময়ের সাথেই করা যায়। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণের সুরক্ষার আশ্রয় হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সরকার এই আইনকে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই আইন এখন জননিরাপত্তার বদলে দুর্নীতি-দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার অসভ্য অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই দাবী জানিয়ে বলেন, এই আইন অবিলম্বে সংশোধন করে একে জনবান্ধন করতে হবে এবং এর অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর একটি দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহবান জানান।