আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আল মাহমুদ ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু বরণ করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আল মাহমুদের ওপর মূল্যায়নধর্মী লেখা প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ উদ্ধৃত করেছেন তার কবিতা। অনেকে তার কবিতা উদ্ধৃত করে তার জন্য দোয়া করেছেন। আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মীর আবদুর রব ও মা রওশন আরা মীর। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন আল মাহমুদ। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আসেন। কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘কাফেলা’য় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি ‘দৈনিক মিল্লাত’ পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী ‘কাফেলা’র চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দৈনিক গণকণ্ঠ প্রকাশিত হয় তারই সম্পাদনায়। এ সময় এক বছরের জন্য কারাবন্দী থাকতে হয় তাকে। ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ পান। পরে তিনি পরিচালক হন। ১৯৯৩ সালে তিনি অবসর নেন। সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আল মাহমুদ পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জয় বাংলা পুরস্কার, হুমায়ূন কবীর স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার, কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদকসহ বহু সম্মাননা।