হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও রাজধানী ঢাকার লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা মাহমূদুল হাসান। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছেন বেফাক সভাপতি মাওলানা মাহমূদুল হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান তিনি। বিবৃতিতে মাওলানা মাহমূদুল হাসান বলেন, দেশের জনমানুষের পাশাপাশি সকল আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। একজন মাদরাসার মুহাদ্দিস এভাবে হামলার শিকার হবেন, তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। অচিরেই অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার লালবাগ মাদরাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব, রাজধানীর জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতী ফজলুল হক আমীনী রহ.-এর জামাতা মাওলানা জসিম উদ্দিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে পিছন দিক থেকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মাওলানা জসিম উদ্দিনের পিঠে মারাত্মক জখম গেছে। ছুরিকাঘাতের ফলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। অঝোরে রক্ত ঝরতেও দেখা যায় তার পিঠ থেকে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা রক্তাক্ত মুফতি জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। ল্যাব এইড হাসপাতালে তাকে ভর্তি না নেওয়ায় পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয় মাওলানা জসিম উদ্দীনকে। আঘাতে তার পিঠের বাম পাশে গভীর ক্ষত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে এ ঘটনার দুইদিন পার হয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।