দিনাজপুরে বিভিন্ন মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়কে (৪৫) অবশেষে আটক করেছে পুলিশ। আটক ক্ষিতিশ চন্দ্রকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের পঞ্চায়েতপাড়ার মৃত ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, এক সপ্তাহ যাবত চিরিরবন্দর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালি মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রহস্য উদঘাটনের জন্য মন্দির কমিটিসহ সকলেই মন্দিরে মন্দিরে পাহারা বসানো হয়। শুক্রবার রাত ১১টার পরে ক্ষিতিশ চন্দ্র উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের আন্ধারমূহা কালিমন্দির, বটতলী কালি মন্দির, সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কালিতলা বাজার সংলগ্ন কালি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে সে পালিয়ে যায়। কয়েকটি মন্দির কমিটির লোকজন মূর্তি ভাঙার চেষ্টা ও পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ থানায় জানালে পুলিশ অভিযানে নামে। শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে উপজেলার ঘুঘুরাতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সকল মূর্তি ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছে। সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হতে পারে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এতে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয় আটজনকে। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংসদ সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রতিমা ভাঙচুর করার এই স্পর্শকাতর ঘটনাটি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখছে।