হঠাৎ করেই গরম রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। খুচরায় আরো বেশি। পাইকারদের দাবি, দাম না পাওয়ায় এলসি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। তাই বাজারে দেশি ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো পেঁয়াজের দাম হাঁকাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। চাল নিয়ে যখন অস্বস্তি তখন ভোক্তার নাগালেই ছিল পেঁয়াজের দর। দেশীয় প্রায় ৫ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সঙ্গে বাজার ভরপুর ছিল ভারত, মিসর, চীন ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজে। তবে বদলে গেছে সেই চিত্র। মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ রয়েছে কেবল দেশি মুড়িকাটা ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজের। পাইকাররা জানালেন, বাজারে আমদানি করা ভারতীয়, চীন ও মিসরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগে থেকেই আর নেই। এই সুযোগে ভরসা দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। আশরাফ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ভারতীয় পেয়াজ আমাদের কাছে নেই। আর দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ছিল ২০-২১ টাকা সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ৩০-৩১ টাকা। পাশের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ছোট দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। আর বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। একই পেঁয়াজ পাশের দোকানেই বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ছোট পেঁয়াজ বিক্রি করতেছি ৩৫ টাকা। আর বড় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বাড়লেও পাইকারি বাজারে চীনের রসুন ও আদার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।